বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী! উত্তর বারিধারাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে তারা শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধার সাথে ড্র করার পরই আবাহনীর শিরোপার পথ সহজ হয়ে যায়, যা উত্তর বারিধারাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই পূর্ণ করলো আকাশী নীলরা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিরোপা উল্লাশে খুব বেশি সমর্থক না থাকলে আনন্দ উৎযাপনের কমতি ছিলোনা খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের তারা নিজেদের মতো করেই সেলিব্রেট করেছে । অধিনায়ক আরিফুল ইসলামের কথায় আবাহনী সব সময়ই শিরোপা প্রত্যাশি দল। শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিলো শিরোপা জয়ের দলের সবার সম্মিলিত চেষ্টায়ই আমাদের এই শিরোপা এসেছে। সবাই মনসংযোগ ধরে রেখে সঠিক সময়ে প্রাকটিস এবং কোচের সঠিক দিক নির্দেশনার ফলেই আমাদের এই সাফল্য।
Tuesday, December 27, 2016
”জেবি বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী”
বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী! উত্তর বারিধারাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে তারা শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধার সাথে ড্র করার পরই আবাহনীর শিরোপার পথ সহজ হয়ে যায়, যা উত্তর বারিধারাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই পূর্ণ করলো আকাশী নীলরা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিরোপা উল্লাশে খুব বেশি সমর্থক না থাকলে আনন্দ উৎযাপনের কমতি ছিলোনা খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের তারা নিজেদের মতো করেই সেলিব্রেট করেছে । অধিনায়ক আরিফুল ইসলামের কথায় আবাহনী সব সময়ই শিরোপা প্রত্যাশি দল। শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিলো শিরোপা জয়ের দলের সবার সম্মিলিত চেষ্টায়ই আমাদের এই শিরোপা এসেছে। সবাই মনসংযোগ ধরে রেখে সঠিক সময়ে প্রাকটিস এবং কোচের সঠিক দিক নির্দেশনার ফলেই আমাদের এই সাফল্য।
Bangladesh Football
Football is still the most popular game in Bangladesh. Some of the systemic problems of infrastructure and we can not move forward. But we hope that soon we will represent our football in the court of world football, as well as the popularity of the cricket.
বাংলাদেশে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। কিন্তু অবকাঠামো এবং কিছু পদ্ধতিগত সমস্যার কারনে আমরা সামনে এগুতে পারছিনা। তবুও আমরা আশা করছি খুব শীগ্রই আমরা আমাদের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ফুটবলেও বিশ্বের দরবারে নিজেদের তুলে ধরবো।
Saturday, December 24, 2016
রোমাঞ্চকর ফাইনাল
ইউরোপীয়ান প্রতিয়োগিতার ইতিহাসের অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ফাইনাল।
--হুময়ান পলাশ (20.05.16)
#ম্যাচ- লিভারপুল বনাম এসি মিলান
#ইভেন্ট- চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল ২০০৫
#ভ্যানু: কামাল আতার্তুক অলিম্পিক স্টেডিয়াম, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক।
#দর্শক_ধারন_ক্ষমতা: ৬৯,৬০০ জন
#তারিখ: ২৫ শে মে, ২০০৫ ইং
#ম্যাচ_পূর্ব_আলোচনা:
২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালটা ছিলো এই আসরে অলরেডদের ৬ষ্ঠ
ফাইনাল এবং এটা ছিলো ১৯৮৫ সালের পর তাদের জন্য প্রথম!! এর আগে তারা মোট ৪
বার এই ট্রফি জিতেছিলো।
অন্যদিকে, মিলানের জন্য এটা ছিলো ১০ম
ফাইনাল। এবং মাত্র ৩ বছরের মধ্যে ২য়। এর আগে তারা মোট ৬ বার এই ট্রফিটি
নিজেদের ঘরে তুলেছিলো।
#পূর্বের_ম্যাচগুলোতে_দুই_দলের_পারফর্মেন্স:
কোয়ালিফাইং রাউন্ড জিতে লিভারপুল
গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিয়েছিলো। গ্রুপে
তাদের সঙ্গী ছিলো আগের সিজনের
রানার্স-আপ এফসি মোনাকো,
দিপার্তিভো লা কারুনা, অলিম্পিয়াকস।
গ্রুপ পর্বে রানার্স আপ হয়ে মোনাকোর
সঙ্গি হয় অলরেডরা।
শেষ ষোলতে লেভারকুসেনকে ৬-২ গোলে হারিয়ে শেষ আটে তারা মুখোমুখি হয় বুফন,
ক্যানাভোরো, নেভভেদ, থুরাম, ইব্রাদের জুভেন্টাসের। তারকা খচিত এই দলটিকে
নিজ মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে এ্যাওয়ে
ম্যাচে গোলশূণ্য ড্র করে সেমিতে
মুখোমুখি হয় আগের সিজনে পার্তোকে
চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতানো কোচ মরিনহোর চেলসির। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে
গোলশূণ্য ড্র এর পর নিজমাঠে লুইস গার্সিয়ার একমাত্র গোলে চেলসিকে ১-০ গোলে
হারায় অলরেডরা এবং ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় দলটি।
অন্যদিকে ইতালীর জায়ান্ট এসি মিলান
গ্রুপ পর্বে রোনালদিনহোর বার্সাকে
পিছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ১৬ তে মুখোমুখি হয়
স্কোলস-গিগস-রনাল্ডো-নিস্টলরয়-ফার্গিদের ম্যানইউয়ের। দুই লেগে
আর্জেন্টিনাইন স্ট্রাইকার হার্নান ক্রেসপোর দুই গোলে ২-০ গোলের জয় পায়
মিলান। শেষ আটে ইন্টারমিলানকে ৫-০
গোলে হারিয়ে সেমিতে পিএসভির সাথে দুই লেগে
৩-৩ গোলে ড্র করে এ্যাওয়ে গোলের সুবাদে ফাইনালে উঠে মিলান!!
#লিভারপুল :
1. Dudek (GK) 2. Steeve Finan(LB) 3. Jamie
Carragher(CB) 4.Sami Hyypia (CB) 5. Djimi
Traore(LB) 6. Xabi Alonso (DM) 7. Luis Garcia
(RM) 8.Steven Gerrard(CM)(C) 9.John Riise
(LM) 10. Harry Kewell (SS)11.Milan Baros(CF)
Coach: Rafa Banetiz
#এসি_মিলান
1. Dida(GK) 2.Kafu (RB) 3. Japp Stam (CB)
4.Alessandro Nesta(CB) 5. Maldini(LB) 6.Pirlo
(DM) 7. Gennaro Gattuso (RM) 8. Clarence
Seedorf(LM) 9. Kaka(AM) 10. Shevchenko (CF)
11. Hernan Crespo(CF)
Coah: Carlo Ancelotti
#ফর্মেশন
লিভারপুল
৪--৪-১-১
এসি মিলান
৪-৪-২
#ফেভারিট
তারকায় ঠাসা দল এবং এই প্রতিযোগিতায় রিসেন্ট
পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে উক্ত ম্যাচে হট ফেভারিট ছিলো এসি মিলান। অন্যদিকে
রাফার ১ম সিজনের দলটাতে ভরসার বড় জায়গাটা ছিলো স্টিফেন জেরার্ড।
#মাঠের_খেলা:
#প্রথম_হাফ:
কিক অফের সাথে সাথেই আক্রমনে উঠে
ইতালি জায়ান্ট মিলান। ডান প্রান্ত
দিয়ে বল নিয়ে দূর্দান্ত গতিতে ডুকার সময়
ব্রাজিলীয়ান মিড-ফিল্ডার কাকাকে
ফাউল করেন লিভারপুলের ফরাসি
ডিফেন্ডার ট্রাওরে। ডি-বক্সের সামান্য
বাহির থেকে ইতালীয়ান মিডি আন্দ্রে
পিরলোর ডান-পায়ের শর্টটি ডি-বক্সে
অপেক্ষারত বিশ্বসেরা লেফট-ব্যাক
পাওলো মালদিনির পায়ে পৌছাঁতেই
দূর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে জড়ান
মিলান অধিনায়ক। যেটা ছিলো
চ্যাম্পিয়ন্স লীগে তার ৫ম গোল। এই
গোলটি করে মালদিনি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ
ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েন। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৫২
সেকেন্ড।
শুরুতেই গোল হজম করা লিভারপুল হতাশা কাটিয়ে ৪র্থ মিনিটে প্রথমবারের জন্য
আক্রমনে উঠে এবং স্প্যানিশ মিডি লুইস গার্সিয়ার কল্যানে টানা দুটি কর্ণার
আদায় করে নেয় ইংলিশ জয়ান্টরা।
জেরার্ডের নেওয়া কর্নার থেকে পাওয়া
বলে স্যামি হাইপিয়া মাথা ছোঁয়ালেও
তা সহজেই নিজের তালুবন্ধি করে নেন
ব্রাজিলীয়ান গ্রেট গোলকিপার দিদা।
খেলার ১৩ মিনিটে মিলান আরেকি জোরালো
আক্রমনে উঠে।কিন্তু
আর্জেন্টিনাইন নাম্বার নাইন হার্নান
ক্রেসপোর নেওয়া হেডটা গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করে তাকে হতাশ করেন
মিডফিল্ডার লুইস গার্সিয়া। এরপর বেশ
কিছু জোরালো আক্রমন করেও গোলকিপার ডুডেকের দৃঢ়তায় গোলের মুখ খুলতে পারে
নি কাকা শেভচেঙ্কোরা। অন্যদিকে, লিভারপুল বিক্ষিপ্ত কিছু আক্রমন শানালেও
তা গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো না।
৩৯ তম মিনিটে লিভারপুলের অর্ধ থেকে
কাকা বল বাড়ান শেভচেঙ্কোর উদ্দেশ্য
বলটা নিজের দখলে নিয়ে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ক্রেসপোর উদ্দেশ্য পাঠিয়ে
দিলেন তিনি। আর, সহজ এই সুযোগকে কাজে লাগাতে ভুল করেন নি এই আর্জেন্টিনাইন
ফরোয়ার্ড। ৫ মিনিট পরে আবারো মাঝ-মাঠের কাছাকাছি অঞ্চলে বল পেলেন কাকা।
দুর্দান্ত গতিতে ডুকে পড়েন তিনি এরপর বল বাড়ান ক্রেসপোর দিকে। ওয়ান টু
ওয়ানে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে
অসাধারন চিপ করে বল পাঠান জালে। আর তাতেই ১ম আর্ধ শেষে ৩-০ গোলের বিশাল
ব্যবধানে এগিয়ে ড্রেসিংরুমে গেলো কাফু-মালদিনি-কাকারা।
অন্যদিকে, পুরো টুর্নামেন্টে কোন ম্যাচেই
একের অধিক গোল না খাওয়া অলরেডরা ৩-০ গোল পিছিয়ে থেকে হতাশাজনক ৪৫ মিনিট
শেষ করলো।
নিশ্চিত হার মেনে নিয়েই ইস্তাম্বুলের
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে নিস্তব্ধ হয়ে বসে
থাকলো অলরেড ফ্যানরা। কারন মাত্র ৪৫ মিনিটে কাফু-মালদিনি-দিদাদের
দেওয়াল ভেঙে ৪ গোল দেওয়া অসম্ভব একটা কাজই বলা চলে। অন্যদিকে, গোলের জন্য
উঠে আসলে ফাঁকা ডিফেন্সে যে নতুন করে ঝড় তুলবে কাকা-শেভচেঙ্কোরা তা না
বললেও চলে।
এরকম এক পরিস্থিতিতেই ২য় হাফে মাঠে
নামলো বেনেতিজের লিভারপুল!!
#২য়_হাফ:
২য় হাফের শুরুতেই সেন্টার ব্যাক ফিনানকে উঠিয়ে হামানকে
মাঠে নামান রাফা।
এদিকে, ১ম আর্ধের মতো ২য় হাফের শুরুতেও আক্রমন শানাতে থাকে মিলান। ৪৬ তম
মিনিটে কাকার ৩৫ মিটার দূর থেকে নেওয়া আচমকা শর্ট সেভ করে দলকে বিপদ মুক্ত
করেন গোলকিপার ডুডেক। ৪৯ তম
মিনিটে কাফুর শর্ট আবারো কর্নারের
বিনিময়ে সেভ করেন ডুডেক।
শুরুর ৫ মিনিটের জড়তা কাটিয়ে ২য় হাফে ১ম বারের মতো আক্রমনে উঠে রেডরা।
কিন্তু আলান্সোর নেওয়া শর্ট লক্ষভ্রষ্ঠ হয়।
৫২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মিলান।
শেভচেঙ্কোর জরালো শর্ট ডুডেকের হাতের ছোঁয়ায় বাহিরে চলে যায়।
৫৪ মিনিটে ২য় বারের মতো আক্রমনে উঠে লিভারপুল। নরওয়ের প্লেয়ার জন আরনে
রাইসির ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান লিভারপুল কাপ্তান স্টিফেন
জেরার্ড। ম্যাচে ফিরে অলরেডরা। ৫৬ মিনিটে আরেকটি জোরালে আক্রমন থেকে
পাওয়া বলে গড়ানো শর্টে
গোলকিপার দিদাকে পরাস্ত করে আবারো
বল জালে জড়ান লিভারপুল স্ট্রাইকার
স্মিচার। উল্লেখ্য, সাবেক এই চেক তারকা
সিজনের অধিকাংশ সময়ই বেঞ্চে
কাটিয়েছেন। খেলার ২৩ তম মিনিটে
তিনি অষ্ট্রেলীয়ান প্লেয়ার কেওয়েলের
বদলি হিসেবে মাঠে নামেন।
৫৯ তম মিনিটে আরো একটি জোরালো
আক্রমনে করে লিভারপুল। এবার জেরার্ডের কল্যাণে পেনাল্টি পেলো অলরেডরা।
স্পট-কিকে শর্ট নিতে আসেন স্প্যানিশ মিড-ফিল্ডার জাভি আলান্সো। তার নেওয়া
শর্টকে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন গোলকিপার দিদা কিন্তু শেষ রক্ষা হয়
নি। কারন ফিরতি বল আবারো আলান্সোর
পায়ে গিয়ে পড়ে। কিন্তু এবার আর বল
জালে জড়াতে ভুল করেন নি তিনি।
আর তাতে মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা রাফা-জেরার্ডের
দল ৩-৩ গোলের সমতায় ফিরলো। এই এক মহাকাব্যিক ৬ মিনিট। ইতিহাস সৃষ্টি করা ৬
মিনিট। পুরো ম্যাচে মিলান শুধু মাত্র এই ৬ টা মিনিটই খেলা নিজেদের
নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে নি। আর ৬ মিনিটই মূলত মিলানের ৭ম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন
শেষ করে দিলো।
আক্রমন পাল্টা-আক্রমনে এবার ম্যাচ আরো জমে উঠে। ৭০ তম মিনিটে শেভচেঙ্কোর
নেয়া শর্ট গোলকিপার সেভ করলেও তালুবন্ধি করতে পারেন নি ফিরতি বলে আবারো এই
ইউক্রেনিয়ান মহাতারকার শর্ট গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার ট্রাওরে।
বাকী বিশ মিনিট আর কেউই গোলের মুখ খুলতে পারে নি। ফলে, ম্যাচ গড়ালো
অতিরিক্ত সময়ে।
ইতিমধ্যে মিলান কোচ আনচেলোত্তি,
ক্রেসপোকে উঠিয়ে থমাসন এবং
সের্ডোফকে উঠিয়ে ব্রাজিলায়ান
সার্জিনহোকে নামান।
অন্যদিকে লিভারপুল তাদের শেষ বদলি
প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নাম সিসিকে।
তুলে নেন বারোসকে।
#অতিরিক্ত_৩০_মিনিট
অতিরিক্ত সময়ের ১ম হাফে অর্থাৎ ১ম ১৫ মিনিটে একতরফাভাবে
আক্রমন শানায় কাকা-শেভচেঙ্কোরা। তবে, গোলকিপার ডুডেক এবং জমাট ডিফেন্স
ভেদ করে গোল করতে পারে নি মিলান। ১০৫+১ মিনিটের সময় শেভচেঙ্কোর দূরহ কোন
থেকে নেওয়া জোরালো ভলি ব্লক করে মিলান সমর্থকদের হতাশ করেন অলরেডদের
গোলস্কোরার স্মিচার।
এদিকে ২ম হাফে দুই দলই গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। আক্রমন-প্রতিআক্রমনপ জমে
উঠে
শেষ ১৫ মিনিট। কিন্তু দু'দলের গোলকিপার এবং ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় কেউ
স্কোর শিটে নাম তুলতে পারে নি। আর তাতেই, ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হলো
উত্তেজনায় ঠাসা মহাকাব্যিক ১২০ মিনিটের। ম্যাচ গড়ালো হার্টব্রেকার
টাইব্রেকারে।
#টাইব্রেকার:
শুরুতেই মিলানের হয়ে শর্ট নিতে আসেন বদলি প্লেয়ার সার্জিনহো।
কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানের নেওয়া শর্ট ক্রসবারের
উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে শুরুতেই চাপে
পড়ে যায় মিলান। অন্যদিকে, লিভারপুলের হয়ে ১ম শর্ট নেন ডিফেন্ডার হামান।
তার শর্ট গোলকিপার দিদাকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে ১-০ গোলের লিড পায়
অলরেডরা।
ডেথবল স্পেশালিস্ট আন্দ্রে পিরলো
মিলানের হয়ে ২য় শর্ট নেন। কিন্তু তার
নেওয়া শর্টটিকে অসাধারণ দক্ষতায়
ফিরিয়ে দেন ডুডেক। অন্যদিকে, বদলি
প্লেয়ার সিসির দেওয়া গোলে ২-০ গোলের
লিড পেয়ে যায় রাফা বেনেতিজের দল।
৩য় শর্ট নিতে এসে বদলি প্লেয়ার থমাসন
প্রথম গোলটি করেন মিলানের পক্ষে।
অন্যদিকে, জন রাইসির নেওয়া শর্ট
ফিরিয়ে দিয়ে মিলানকে ম্যাচে ফিরান
গোলকিপার দিদা। আবারো জমে উঠলো খেলা।
৪র্থ শর্ট নেওয়া কাকা এবং স্মেচার
দু'জনেই গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২ এ।
৫ম শর্ট নিতে আসেন আগের বছর ব্যালন ডি'অর জিতা এবং পুরো ম্যাচে অসাধারন
খেলতে থাকা শেভচেঙ্কো। কিন্তু, হতাশায় পুড়ালেন তিনি। তার নেওয়া শর্টটা
ফিরিয়ে দিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়েন গোলকিপার ডুডেক।
হতাশায় লুটিয়ে পড়লো মালদিনি-কাফু-কাকা-পিরলো-শেভচেঙ্কোরা। আর
জেরার্ড-গার্সিয়ারা আনন্দে হওয়ায় ভাসতে থাকলেন। ইস্তাম্বুলের গ্যালারীতে
শুরু হয়ে গেলো লাল উৎসব।
#রেজাল্ট: লিভারপুল:৩(৩)- এসি মিলান:৩(২)
#ম্যান_অফ_দ্যা_ম্যাচ: স্টিফেন জেরার্ড (লিভারপুল)
#সার_সংক্ষেপ:
আজ আবারো এই ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতার আরেকটা ফাইনালে লিভারপুলের
প্রতিধন্ধি এই আসরের গত দুই বারের এবং সর্বোচ্চ ৪ টি শিরোপা জিতা
স্প্যানিশ দল সেভিয়া।
আশা করি, এই রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচ দুটি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অলরেডরা
আজ ও আরেকটি অসাধারণ ফাইনাল ম্যাচ উপহার দিবে সারা বিশ্বের সকল
ফুটবলপ্রেমীদের এবং দিনশেষে আবারো বাসেলে শিরোপা উচিঁয়ে ধরবে জেরার্ডের
উত্তোরসূরিরা। ক্লপ এন্ড কোং এর জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।
#YNWA
১৯৯২ চ্যাম্পিয়ন্সলীগ ফাইনাল
বার্সেলোনার প্রথম চ্যাম্পিয়নসলীগ
----রুমেল (১০.১২.১৬)
আমাকে যদি টাইম মেশিন দিয়ে জিজ্ঞাসা করা হত তবে আমি কিছু চিন্তা না করেই বলে দিতাম ১৯৯২ চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল ম্যাচের দিনটিতে।লাইভ দেখতে চাইতাম প্রিয় ক্লাবের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ের মুহুর্তটিকে।১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সেলোনাকে দেখার সৌভাগ্য আমাদের কারোই হয়নি।তবে নিজের মত করে ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা সকল ম্যাচ নিজের মত করে তুলে ধরার চেস্টা করলাম
জাতীয় লীগে সাফল্য অর্জন করতে খুব বেশি সময় নেয়নি ক্লাব টি।কিন্তু ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদার আসর
ইউরোপিয়ান কাপ(চ্যাম্পিয়নস লীগ) শুরু হবার পর বার্সেলোনার সাফল্য আসে একটু দেরিতেই। ১৯৬১ ও ১৯৮৬ সালে শিরোপারর খুব কাছে গিয়েও ফাইনালে হেরে হতাশ হতে হয়েছে কাতালান দের।
তবে ১৯৯২ সালে আর হতাশ করেনি বার্সেলোনা। প্রয়াত বার্সা লিজেন্ড ইয়োহান ক্রুইফ এর অধীনে বার্সেলোনা জয় করে তাদের প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপা।
১৯৯২ সালের ইউরোপিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইউরোপের বিভিন্ন লীগের মোট ৩২ টি ক্লাব নিয়ে।
তখন ইউরোপিয়ান কাপের সিস্টেম ছিল অনেকটাই ভিন্ন। প্রতিযোগিতা শুরু হত নক-আউট রাউন্ড এর মত।
৩২ টি দল লটারীর মাধ্যমে দুই ভাগ করে খেলানো হত।
টুর্নামেন্ট শুরু হতো ১ম রাউন্ড দিয়ে। ১ম রাউন্ড যেখানে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় আর জিতলে ২য় রাউন্ড।প্রতিটি রাউন্ডে হোম ও এওয়ে ম্যাচ এর ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হত।
২য় রাউন্ডে একই ভাবে উত্তির্ন দলের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে ভাগ করে খেলা হত।২য় রাউন্ড হতে অবশিষ্ট ৮ টি দল কে লটারীর মাধ্যমে ৪ দল করে দুই গ্রুপে ভাগ করা হত এবং এই দুই গ্রুপের মধ্যে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দুই দল সরাসরি ফাইনালে খেলতো।
#বার্সেলোনার_১ম_রাউন্ড:
বার্সেলোনা প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হয় জার্মান ক্লাব এফসি হানসা র।
১ম রাউন্ডে প্রথম লেগে ন্যু-ক্যাম্পে বার্সেলোনা ৩-০ গোলে হারায় এফ সি হানসা কে।
বার্সার হয়ে দুটি গোল করেন মাইকেল লাউড্রপ,অন্যটি করেন গোয়িকয়েটসিয়া
২য় লেগে হানসার হোম গ্রাউন্ডে বার্সেলোনা ১-০ গোলে হারলেও দুই লেগে ৩-১ এগ্রিগেটে বার্সেলোনা চলে যায় ২য় রাউন্ডে
#২য়_রাউন্ডঃ ২য় রাউন্ডে বার্সেলোনা মুখোমুখি হয় আরেক জার্মান ক্লাব কাইসারসেলুটার্ন এর।
১ম লেগঃ ন্যু-ক্যাম্প,বার্সেলোনাঃ
প্রথম লেগে ন্যু-ক্যাম্পে বার্সেলোনা ২-০ গোলে জয় লাভ করে।বার্সার হয়ে দুটি গোলই করেন আইতোর বেগিরিস্টেন।
২য় লেগঃওয়াল্টার স্টেডিয়াম, কাইসারসেলুটার্নঃ
প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয়ে সহজ পরিসংখ্যান নিয়ে ২য় লেগ খেলতে নামে বার্সেলোনা।
কিন্তু কাইসারসেলুটার্ন এর মাঠে ২য় লেগে বার্সেলোনা ৩৫, ৪৮,৭৬ মিনিটে তিনটি গোল কনসিড করে। এই স্কোর লাইনে ম্যাচ শেষ হলেই এগ্রিগেটে ৩-২ গোলে বিদায় নেবে বার্সা। সব কিউলেস মধ্যে যখন আরেকটি দুঃসপ্নের ইউরোপিয়ান কাপ শেষ হতে যাচ্ছিল তখন ম্যাচের ৮৭ মিনিটে জোসে মারি বাকিরো বার্সার হয়ে অতি মুল্যবান একটি গোল করলেন ।খেলা শেষে স্কোর লাইন বার্সা ১-৩ কাইসার।দুই লেগ মিলে স্কোর লাইন বার্সা ৩-৩ কাইসারসেলুটার্ন কিন্তু বাকিরোর সেই এওয়ে গোলে ৩য় রাউন্ডে বার্সেলোনা
#৩য়_রাউন্ড (গ্রুপ স্টেজ)ঃ ৩য় রাউন্ডে উত্তির্ন ৮ টি দল কে লটারীর মাধ্যমে A ও B দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়।
গ্রুপ বি তে বার্সেলোনার সাথে ছিল পর্তুগীজ ক্লাব বেনিফিকা,চেক রিপাবলিকান ক্লাব স্পার্তা প্রাহা,ও ইউক্রেন এর ক্লাব ডায়নামো কিয়েভ।
এই গ্রুপ থেকে হোম ও এওয়ে হিসাবে প্রত্যেক দল দুই বার মুখোমুখি হয়। পয়েন্ট সিস্টেমে ছিল একটু ভিন্ন।প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য ২ পয়েন্ট ও প্রতিটি ড্র এর জন্য ১ পয়েন্ট।এই গ্রুপের সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন কারী দল খেলবে ফাইনালে
#৩য়_রাউন্ড_১ম_ম্যাচঃ
বার্সেলোনা বনাম স্পার্তা প্রাহা
ন্যু-ক্যাম্প,বার্সেলোনা
৩য় রাউন্ড এর প্রথম ম্যাচে ন্যু-ক্যাম্পে স্পার্তা প্রাহার মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে জুলের্মো অমোর এর গোল লিড নেয় বার্সেলোনা। কিন্তু ঠিক ২ মিনিট পরেই
ভারবেক এর গোলে সমতায় ফেরে প্রাহা।খেলার ৩৪ ও ৬৩ মিনিটে এনরিক লাউড্রপ ও জোসে বাকিরোর গোলে ব্যবধান ৩-১ করে বার্সেলোনা। ৬৭ মিনিটে বার্সেলোনা আরেকটি গোল কনসিড করলেও ৩-২ গোলের জয় দিয়ে ৩য় রাউন্ডের শুভ সুচনা করে বার্সেলোনা।
#৩য়_রাউন্ড_২য়_ম্যাচঃ
বেনিফিকা বনাম বার্সেলোনা(এওয়ে)
এস্তোদিও এস এল বেনিফিকা
৩য় রাউন্ডের ২য় ম্যাচে পর্তুগিজ ক্লাব বেনিফিকার মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। বেনিফিকার মাঠে এই ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয় দু দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয়।
দুই ম্যাচে ১ জয় ও এক ড্র তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা।
#৩য়_রাউন্ড_৩য়_ম্যাচঃ
ডায়নামো কিয়েভ বনাম বার্সেলোনা(এওয়ে)ঃ
স্টেডিওন ডায়নামো ইম
৩য় ম্যাচে ডায়নামো কিয়েভ এর মাঠে মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল মেশিন রিস্টো স্টয়চকভ এর গোল এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে জোসে বাকিরোকে বদলি করে জুলিও স্যালিনাস কে মাঠে নামান কোচ ইয়োহান ক্রুইফ।তার এই সাবটিটিউড খুব দ্রুতই কাজ করে।ম্যাচের ৬৭ মিনিটি স্যালিনাস এর গোলে ২-০ এগিয়ে যায় ও জয় লাভ করে।
৩ ম্যাচে ২য় জয়,১ড্র তে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে যায় বার্সেলোনা।
৩ পয়েন্ট নিয়ে স্পার্তা প্রাহা ২য় স্থানে,সমান ২ পয়েন নিয়ে ৩য় কিয়েভ, ৪র্থ বেনিফিকা
#৩য়_রাউন্ড_৪র্থ_ম্যাচঃ
বার্সেলোনা বনাম ডায়নামো কিয়েভঃ
ভেন্যুঃ ন্যু-ক্যাম্প
ডায়নামো কিয়েভের সাথে প্রথম দেখায় এওয়ে ম্যাচে ২-০ তে জয়ের পর ন্যু-ক্যাম্পে আবার মুখোমুখি বার্সা ও কিয়েভ।
প্রতিদন্দিতা পুর্ন প্রথম হাফে গোল শুন্য থাকে দু দলই। দ্বিতীয় হাফের শুর থেকেই নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করে বার্সা এবং ফল সরুপ ম্যাচের ৫৪ মিনিটে স্টয়চকভ এর গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।ম্যাচের ৮২ মিনিটে নিজের ও বার্সা হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন স্টয়চকভ আর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে বদলি প্লেয়ার স্যালিনাসের গোলে ৩-০ গোলের সহজ জয় পায় বার্সা।
৪ ম্যাচে ৩য় জয়,১ড্র তে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই বার্সেলোনা।
২য় স্থানে প্রাহা,৩য় ও ৪র্থ বেনিফেকা ও কিয়েভ
#৩য়_রাউন্ড_৫ম_ম্যাচঃ
স্প্রাতা প্রাহা বনাম বার্সেলোনা(এওয়ে)
ভেন্যুঃস্টেডিওন লেটনা, প্রাহা
৩য় রাউন্ড এর ৫ম ম্যাচে ফাইনালে যাওয়ার সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। বার্সা জিতলেই ফাইনালে আর হারলে সুযোগ রয়ে যাবে বাকিদের।
এই ম্যাচে প্রথম হাফে গোল করতে পারেনা কোন দলই।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় প্রাহা।এই গোল আর পরিশোধ করতে না পারায় ১-০ গোল হেরে যায় বার্সা।
৫ ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকে বার্সা,২য় অবস্থানে প্রাহা
#৩য়_রাউন্ড_৬ষ্ঠ_ম্যাচঃ
বার্সেলোনা বনাম বেনিফিকা
ভেন্যুঃনূ-ক্যাম্প,বার্সেলোনা
ফাইনালে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে অবশ্যই জয় প্রয়োজন ছিল বার্সার কারন হারলে অথবা ড্র করলে রাউন্ডের অপর ম্যাচে প্রাহা জিতলে বার্সা পয়েন্ট টেবিলে ২য় অবস্থানে চলে যাবে এবং ফাইনালে চলে যাবে প্রাহা।
এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে নেমে খুব দারুন ভাবে শুরু করে বার্সেলোনা। ম্যাচের ১২ মিনিটে রিস্টো স্টয়চকভ এর গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে বার্সার হয়ে ২য় গোল করেন বাকিরো।২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেস্টা করে বেনিফিকা এবং ২৭ মিনিটে ব্রিতো বেনিফিকার হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন।ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন দলই গোল করতে না পারায় ২-১ গোলের জয় পায় বার্সেলোনা।
এই গ্রুপ থেকে ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবে ৩য় বারের মত ইউরোপিয়ান কাপ বা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে চলে যায় বার্সেলোনা।
অপর গ্রুপ থেকে শীর্ষ দল হিসেবে ফাইনালে যায় সাম্পদোরিয়া।
আরো একবার চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে বার্সেলোনা।সব কিউলসদের মধ্যে নিশ্চই একটি কথাই ঘুরছিল যে এবার কি হবে সপ্ন জয় নাকি বাড়বে অপেক্ষা।ক্রুইফের বার্সেলোনাকি পারবে এবার ইতিহাস গড়তে???সব প্রশ্ন আর ভয় মাথায় ঘুরছিল।
ফাইনালে ক্রুইফের প্রথম একাদশে ছিলেনঃ
জুবিযারেতা(C),কোয়মেন,ফেরার,মুনেজ,ইউসেবিও,গার্ডিওলা,জুয়ান কার্লোস,বাকিরো,লাউড্রপ,স্যালিনাস,স্টয়চকভ
সাবটিটিউড হিসেবে ছিলেনঃজোসে রামন,কার্লোস বুস্কেটস,এন্তনিও,আইতোর,মিগুয়েল
খেলার শুরু থেকেই দুই দল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে।প্রথম হাফের সেরা খেলা উপহার দেয় বার্সাই।বার্সার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাড়ায় সাম্পদোরিয়ার গোলরক্ষক পাউলিউসা।প্রথম হাফে পেনাল্টি বক্সের কিছুটা দুরে ফ্রি কিক পায় বার্সেলোনা, কোয়মেনের ফ্রি কিক অসাধারন ভাবে রুখে দেয় পাউলিউসা।পাল্টা আক্রমনে যায় সাম্পদোরিয়া। কর্নার থেকে আসা বল থেকে সট রুখে দিয়ে নিশ্চিত গোল বাচিয়ে দেন বার্সা কিপার জুবিযারেতা।আবার এটাকে বার্সা।ডান প্রান্ত থেকে ইউসেবিওর ক্রস থেকে হেড নেন স্যালিনাস। এবার ও রুখে দেন পাউলিউসা।
প্রথম হাফে স্কোর লাইন ০-০।
দ্বিতীয় হাফের শুরুতেই এটাকে যায় বার্সা।স্টয়চকভ প্রায় ৩,৪ জনকে কাটিয়ে সট নেন এবং আবার ও পাউলিউসার সেভ।তার ২ মিনিট পরেই স্যালিনাসের সট আবার রুখে দেন পাউলিউসা।পাল্টা আক্রমন থেকে সাম্পদোরিয়া স্ট্রাইকার গোলের সহজ সুযোগ কে নস্ট করেন বারের উপর দিয়ে মেরে।
আবার এটাকে বার্সা গার্ডিওলার ডিফ্রেন্স চেরা পাস থেকে বল পায় স্টয়চকভ। স্টয়চকভের সট এবার গোলকিপারকে অতিক্রম করলেও বাধা হয়ে দাড়ায় বারপোস্ট। পোস্টে লেগে ফিরে আসে বল।৬৫ মিনিটে ক্রুইফ প্রথম সাব ইউজ করে স্যালিনাসের বদলে এন্তনিও কে মাঠে নামায়।দ্বিতীয় হাফের শেষ দিকে ডান প্রান্ত দিয়ে সাম্পদোরিয়ার আক্রমন থেকে স্ট্রাইকারের সট রুখে দেন জুবিযারেতা। ৯০ মিনিট শেষ কোন দলই গোল করতে না পারায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।অতিরিক্ত সময়ে দুই দলই কিছুটা রক্ষনাত্মক ভাবে খেলতে থাকে, তেমন কোন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনা কেউই।ম্যাচের ১১০ মিনিটে লাউড্রপ এর পাস থেকে বল পান ইউসেবিও।পেনাল্টি বক্সের বাইরে তাকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় বার্সেলোনা। ফ্রি কিক নেয়ার জন্য বলের সামনে কোয়মেন,স্টয়চকভ, লাউড্রপ। প্রথম বারের দুরুহ কোনে জোড়ালো সট নিলেন কোয়মেন এবং গোলকিপার কে অতিক্রম করে বল সাম্পদোরিয়ার জালে।১১২ মিনিটে কোয়মেনের গোলে বার্সেলোনা ফাইনালে লীড নিল।গোল কনসিড করে পরিশোধের আপ্রান চেস্টা করে সাম্পদোরিয়া। কিন্তু বার্সা ডিফেন্স রুখে দেয় সব চেস্টাই এবং রেফারির শেষ বাশীর সাথে সৃস্টি হয় নতুন ইতিহাসের।প্রথম বারের মত ইউরোপ সেরা হয় #এফসি_বার্সেলোনা।ইউরোপে সেরা ক্রুইফের বার্সেলোনা।
এরপর ২০০৬,২০০৯,২০১১,২০১৫ সালে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জয় করে বার্সেলোনা।
ইতালিয়ান সুপার কোপা চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান।
এসি মিলান!!
এক সময়রে দুর্দান্ত প্রতাপে খেলা ক্লাবটি যেন কোথাও খেই হারিয়েই ফেলেছিলো!!! কোপা ইতালিয়ার শিরোপা হতে পারে তাদের চেনারূপে ফেরার একটা অবলম্বন। গত রাতে জুভেন্টাসের সাথে তাদের ফাইনালটি ছিলো উত্তেজনায় ঠাসা, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে । অতিরিক্ত সময়ে দু পক্ষই একের পর এক আক্রমন শানিয়ে গেলেও গোলের দেখা পায়নি কেউই, খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে যেখানে পাওলো ডিবালা এবং মারিও মানজুকিচের মিসের খেসারত দিতে হয় জুভেন্টাসকে, এসি মিলান ম্যাচটি জিতে নেয় ৪-৩ গোলে। অবশ্য ম্যাচে হেরে গেলেও সব দিক দিয়েই এগিয়ে ছিলো জুভেন্টাস। অন টার্গেটে তাদের শর্ট ছিলো ১৫ টি যেখানে এসি মিলানের শর্ট ১০। অফ টার্গেটে এসি মিলান এবং জুভিদের সমান শর্ট ৬ টি করে । পজিশনে জুভিরা ৫২% এর যায়গায় এসি মিলান ছিলো ৪৮% । মোদ্যাকথা দর্শকরা ফাইনাল ম্যাচ যেরকম দেখতে চায় অনেকটা জুভি-মিলান সেই আবহ তৈরি করে দিয়েছে।
ইতালিয়ান সুপার কোপা চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান।
এক সময়রে দুর্দান্ত প্রতাপে খেলা ক্লাবটি যেন কোথাও খেই হারিয়েই ফেলেছিলো!!! কোপা ইতালিয়ার শিরোপা হতে পারে তাদের চেনারূপে ফেরার একটা অবলম্বন। গত রাতে জুভেন্টাসের সাথে তাদের ফাইনালটি ছিলো উত্তেজনায় ঠাসা, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে । অতিরিক্ত সময়ে দু পক্ষই একের পর এক আক্রমন শানিয়ে গেলেও গোলের দেখা পায়নি কেউই, খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে যেখানে পাওলো ডিবালা এবং মারিও মানজুকিচের মিসের খেসারত দিতে হয় জুভেন্টাসকে, এসি মিলান ম্যাচটি জিতে নেয় ৪-৩ গোলে। অবশ্য ম্যাচে হেরে গেলেও সব দিক দিয়েই এগিয়ে ছিলো জুভেন্টাস। অন টার্গেটে তাদের শর্ট ছিলো ১৫ টি যেখানে এসি মিলানের শর্ট ১০। অফ টার্গেটে এসি মিলান এবং জুভিদের সমান শর্ট ৬ টি করে । পজিশনে জুভিরা ৫২% এর যায়গায় এসি মিলান ছিলো ৪৮% । মোদ্যাকথা দর্শকরা ফাইনাল ম্যাচ যেরকম দেখতে চায় অনেকটা জুভি-মিলান সেই আবহ তৈরি করে দিয়েছে।
ইতালিয়ান সুপার কোপা চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান।
Friday, December 23, 2016
Thursday, December 22, 2016
Cristiano Ronaldo Career Stats:
Match: 826
Goal: 571
Assists: 189
Trophy: 20
Hattrick: 45
2016-2017 (Club & Country)
22 Game |23 Goal | 6 Assists
2016 (Club & Country)
57 Game | 55 Goal | 17 Assists
#SportsWorldBD
#FootballJagat
#RonaldoStats
#Mahmud
Wednesday, December 21, 2016
”অপ্রতিরোধ্য বার্সেলোনার চার সৈনিক”
”বার্সেলোনা” বার্সেলোনার বর্তমান সফলতার কথা চিন্তা করলে প্রথমেই যে চারজনের নাম আপনাকে নিতে হবে তারা হচ্ছেন- লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, লুইস সুয়ারেজ এবং নেইমার জুনিয়র। এই চারজনের পারফরম্যান্স ব্যতিত বর্তমানে বার্সেলোনার সফলতার কথা চিন্তা করাটা কিছুটা দুস্কর! জাভি, পুয়োল, দানি আলভেজরা চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনার ত্রান কর্তা বলা যায় এই চার সৈনিকই।