Saturday, December 24, 2016

রোমাঞ্চকর ফাইনাল






ইউরোপীয়ান প্রতিয়োগিতার ইতিহাসের অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ফাইনাল।
--হুময়ান পলাশ (20.05.16)

#ম্যাচ- লিভারপুল বনাম এসি মিলান
#ইভেন্ট- চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল ২০০৫
#ভ্যানু: কামাল আতার্তুক অলিম্পিক স্টেডিয়াম, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক।
#দর্শক_ধারন_ক্ষমতা: ৬৯,৬০০ জন 
#তারিখ: ২৫ শে মে, ২০০৫ ইং

#ম্যাচ_পূর্ব_আলোচনা: ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালটা ছিলো এই আসরে অলরেডদের ৬ষ্ঠ ফাইনাল এবং এটা ছিলো ১৯৮৫ সালের পর তাদের জন্য প্রথম!! এর আগে তারা মোট ৪ বার এই ট্রফি জিতেছিলো। অন্যদিকে, মিলানের জন্য এটা ছিলো ১০ম ফাইনাল। এবং মাত্র ৩ বছরের মধ্যে ২য়। এর আগে তারা মোট ৬ বার এই ট্রফিটি নিজেদের ঘরে তুলেছিলো। 

#পূর্বের_ম্যাচগুলোতে_দুই_দলের_পারফর্মেন্স: কোয়ালিফাইং রাউন্ড জিতে লিভারপুল গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিয়েছিলো। গ্রুপে তাদের সঙ্গী ছিলো আগের সিজনের রানার্স-আপ এফসি মোনাকো, দিপার্তিভো লা কারুনা, অলিম্পিয়াকস। গ্রুপ পর্বে রানার্স আপ হয়ে মোনাকোর সঙ্গি হয় অলরেডরা। শেষ ষোলতে লেভারকুসেনকে ৬-২ গোলে হারিয়ে শেষ আটে তারা মুখোমুখি হয় বুফন, ক্যানাভোরো, নেভভেদ, থুরাম, ইব্রাদের জুভেন্টাসের। তারকা খচিত এই দলটিকে নিজ মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে এ্যাওয়ে ম্যাচে গোলশূণ্য ড্র করে সেমিতে মুখোমুখি হয় আগের সিজনে পার্তোকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতানো কোচ মরিনহোর চেলসির। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গোলশূণ্য ড্র এর পর নিজমাঠে লুইস গার্সিয়ার একমাত্র গোলে চেলসিকে ১-০ গোলে হারায় অলরেডরা এবং ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় দলটি। অন্যদিকে ইতালীর জায়ান্ট এসি মিলান গ্রুপ পর্বে রোনালদিনহোর বার্সাকে পিছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ১৬ তে মুখোমুখি হয় স্কোলস-গিগস-রনাল্ডো-নিস্টলরয়-ফার্গিদের ম্যানইউয়ের। দুই লেগে আর্জেন্টিনাইন স্ট্রাইকার হার্নান ক্রেসপোর দুই গোলে ২-০ গোলের জয় পায় মিলান। শেষ আটে ইন্টারমিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে সেমিতে পিএসভির সাথে দুই লেগে ৩-৩ গোলে ড্র করে এ্যাওয়ে গোলের সুবাদে ফাইনালে উঠে মিলান!! 

#লিভারপুল : 1. Dudek (GK) 2. Steeve Finan(LB) 3. Jamie Carragher(CB) 4.Sami Hyypia (CB) 5. Djimi Traore(LB) 6. Xabi Alonso (DM) 7. Luis Garcia (RM) 8.Steven Gerrard(CM)(C) 9.John Riise (LM) 10. Harry Kewell (SS)11.Milan Baros(CF) Coach: Rafa Banetiz  
#এসি_মিলান 1. Dida(GK) 2.Kafu (RB) 3. Japp Stam (CB) 4.Alessandro Nesta(CB) 5. Maldini(LB) 6.Pirlo (DM) 7. Gennaro Gattuso (RM) 8. Clarence Seedorf(LM) 9. Kaka(AM) 10. Shevchenko (CF) 11. Hernan Crespo(CF) Coah: Carlo Ancelotti 

#ফর্মেশন লিভারপুল ৪--৪-১-১ এসি মিলান ৪-৪-২ #ফেভারিট তারকায় ঠাসা দল এবং এই প্রতিযোগিতায় রিসেন্ট পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে উক্ত ম্যাচে হট ফেভারিট ছিলো এসি মিলান। অন্যদিকে রাফার ১ম সিজনের দলটাতে ভরসার বড় জায়গাটা ছিলো স্টিফেন জেরার্ড। 

#মাঠের_খেলা: #প্রথম_হাফ: কিক অফের সাথে সাথেই আক্রমনে উঠে ইতালি জায়ান্ট মিলান। ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দূর্দান্ত গতিতে ডুকার সময় ব্রাজিলীয়ান মিড-ফিল্ডার কাকাকে ফাউল করেন লিভারপুলের ফরাসি ডিফেন্ডার ট্রাওরে। ডি-বক্সের সামান্য বাহির থেকে ইতালীয়ান মিডি আন্দ্রে পিরলোর ডান-পায়ের শর্টটি ডি-বক্সে অপেক্ষারত বিশ্বসেরা লেফট-ব্যাক পাওলো মালদিনির পায়ে পৌছাঁতেই দূর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে জড়ান মিলান অধিনায়ক। যেটা ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স লীগে তার ৫ম গোল। এই গোলটি করে মালদিনি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েন। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৫২ সেকেন্ড। শুরুতেই গোল হজম করা লিভারপুল হতাশা কাটিয়ে ৪র্থ মিনিটে প্রথমবারের জন্য আক্রমনে উঠে এবং স্প্যানিশ মিডি লুইস গার্সিয়ার কল্যানে টানা দুটি কর্ণার আদায় করে নেয় ইংলিশ জয়ান্টরা। জেরার্ডের নেওয়া কর্নার থেকে পাওয়া বলে স্যামি হাইপিয়া মাথা ছোঁয়ালেও তা সহজেই নিজের তালুবন্ধি করে নেন ব্রাজিলীয়ান গ্রেট গোলকিপার দিদা। খেলার ১৩ মিনিটে মিলান আরেকি জোরালো আক্রমনে উঠে।কিন্তু আর্জেন্টিনাইন নাম্বার নাইন হার্নান ক্রেসপোর নেওয়া হেডটা গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করে তাকে হতাশ করেন মিডফিল্ডার লুইস গার্সিয়া। এরপর বেশ কিছু জোরালো আক্রমন করেও গোলকিপার ডুডেকের দৃঢ়তায় গোলের মুখ খুলতে পারে নি কাকা শেভচেঙ্কোরা। অন্যদিকে, লিভারপুল বিক্ষিপ্ত কিছু আক্রমন শানালেও তা গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো না। ৩৯ তম মিনিটে লিভারপুলের অর্ধ থেকে কাকা বল বাড়ান শেভচেঙ্কোর উদ্দেশ্য বলটা নিজের দখলে নিয়ে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ক্রেসপোর উদ্দেশ্য পাঠিয়ে দিলেন তিনি। আর, সহজ এই সুযোগকে কাজে লাগাতে ভুল করেন নি এই আর্জেন্টিনাইন ফরোয়ার্ড। ৫ মিনিট পরে আবারো মাঝ-মাঠের কাছাকাছি অঞ্চলে বল পেলেন কাকা। দুর্দান্ত গতিতে ডুকে পড়েন তিনি এরপর বল বাড়ান ক্রেসপোর দিকে। ওয়ান টু ওয়ানে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে অসাধারন চিপ করে বল পাঠান জালে। আর তাতেই ১ম আর্ধ শেষে ৩-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে ড্রেসিংরুমে গেলো কাফু-মালদিনি-কাকারা। অন্যদিকে, পুরো টুর্নামেন্টে কোন ম্যাচেই একের অধিক গোল না খাওয়া অলরেডরা ৩-০ গোল পিছিয়ে থেকে হতাশাজনক ৪৫ মিনিট শেষ করলো। নিশ্চিত হার মেনে নিয়েই ইস্তাম্বুলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে নিস্তব্ধ হয়ে বসে থাকলো অলরেড ফ্যানরা। কারন মাত্র ৪৫ মিনিটে কাফু-মালদিনি-দিদাদের দেওয়াল ভেঙে ৪ গোল দেওয়া অসম্ভব একটা কাজই বলা চলে। অন্যদিকে, গোলের জন্য উঠে আসলে ফাঁকা ডিফেন্সে যে নতুন করে ঝড় তুলবে কাকা-শেভচেঙ্কোরা তা না বললেও চলে। এরকম এক পরিস্থিতিতেই ২য় হাফে মাঠে নামলো বেনেতিজের লিভারপুল!!  

#২য়_হাফ: ২য় হাফের শুরুতেই সেন্টার ব্যাক ফিনানকে উঠিয়ে হামানকে মাঠে নামান রাফা। এদিকে, ১ম আর্ধের মতো ২য় হাফের শুরুতেও আক্রমন শানাতে থাকে মিলান। ৪৬ তম মিনিটে কাকার ৩৫ মিটার দূর থেকে নেওয়া আচমকা শর্ট সেভ করে দলকে বিপদ মুক্ত করেন গোলকিপার ডুডেক। ৪৯ তম মিনিটে কাফুর শর্ট আবারো কর্নারের বিনিময়ে সেভ করেন ডুডেক। শুরুর ৫ মিনিটের জড়তা কাটিয়ে ২য় হাফে ১ম বারের মতো আক্রমনে উঠে রেডরা। কিন্তু আলান্সোর নেওয়া শর্ট লক্ষভ্রষ্ঠ হয়। ৫২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মিলান। শেভচেঙ্কোর জরালো শর্ট ডুডেকের হাতের ছোঁয়ায় বাহিরে চলে যায়। ৫৪ মিনিটে ২য় বারের মতো আক্রমনে উঠে লিভারপুল। নরওয়ের প্লেয়ার জন আরনে রাইসির ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান লিভারপুল কাপ্তান স্টিফেন জেরার্ড। ম্যাচে ফিরে অলরেডরা। ৫৬ মিনিটে আরেকটি জোরালে আক্রমন থেকে পাওয়া বলে গড়ানো শর্টে গোলকিপার দিদাকে পরাস্ত করে আবারো বল জালে জড়ান লিভারপুল স্ট্রাইকার স্মিচার। উল্লেখ্য, সাবেক এই চেক তারকা সিজনের অধিকাংশ সময়ই বেঞ্চে কাটিয়েছেন। খেলার ২৩ তম মিনিটে তিনি অষ্ট্রেলীয়ান প্লেয়ার কেওয়েলের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন। ৫৯ তম মিনিটে আরো একটি জোরালো আক্রমনে করে লিভারপুল। এবার জেরার্ডের কল্যাণে পেনাল্টি পেলো অলরেডরা। স্পট-কিকে শর্ট নিতে আসেন স্প্যানিশ মিড-ফিল্ডার জাভি আলান্সো। তার নেওয়া শর্টকে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন গোলকিপার দিদা কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। কারন ফিরতি বল আবারো আলান্সোর পায়ে গিয়ে পড়ে। কিন্তু এবার আর বল জালে জড়াতে ভুল করেন নি তিনি। আর তাতে মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা রাফা-জেরার্ডের দল ৩-৩ গোলের সমতায় ফিরলো। এই এক মহাকাব্যিক ৬ মিনিট। ইতিহাস সৃষ্টি করা ৬ মিনিট। পুরো ম্যাচে মিলান শুধু মাত্র এই ৬ টা মিনিটই খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে নি। আর ৬ মিনিটই মূলত মিলানের ৭ম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ করে দিলো। আক্রমন পাল্টা-আক্রমনে এবার ম্যাচ আরো জমে উঠে। ৭০ তম মিনিটে শেভচেঙ্কোর নেয়া শর্ট গোলকিপার সেভ করলেও তালুবন্ধি করতে পারেন নি ফিরতি বলে আবারো এই ইউক্রেনিয়ান মহাতারকার শর্ট গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার ট্রাওরে। বাকী বিশ মিনিট আর কেউই গোলের মুখ খুলতে পারে নি। ফলে, ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। ইতিমধ্যে মিলান কোচ আনচেলোত্তি, ক্রেসপোকে উঠিয়ে থমাসন এবং সের্ডোফকে উঠিয়ে ব্রাজিলায়ান সার্জিনহোকে নামান। অন্যদিকে লিভারপুল তাদের শেষ বদলি প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নাম সিসিকে। তুলে নেন বারোসকে। 

#অতিরিক্ত_৩০_মিনিট অতিরিক্ত সময়ের ১ম হাফে অর্থাৎ ১ম ১৫ মিনিটে একতরফাভাবে আক্রমন শানায় কাকা-শেভচেঙ্কোরা। তবে, গোলকিপার ডুডেক এবং জমাট ডিফেন্স ভেদ করে গোল করতে পারে নি মিলান। ১০৫+১ মিনিটের সময় শেভচেঙ্কোর দূরহ কোন থেকে নেওয়া জোরালো ভলি ব্লক করে মিলান সমর্থকদের হতাশ করেন অলরেডদের গোলস্কোরার স্মিচার। এদিকে ২ম হাফে দুই দলই গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। আক্রমন-প্রতিআক্রমনপ জমে উঠে শেষ ১৫ মিনিট। কিন্তু দু'দলের গোলকিপার এবং ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় কেউ স্কোর শিটে নাম তুলতে পারে নি। আর তাতেই, ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হলো উত্তেজনায় ঠাসা মহাকাব্যিক ১২০ মিনিটের। ম্যাচ গড়ালো হার্টব্রেকার টাইব্রেকারে। 

#টাইব্রেকার: শুরুতেই মিলানের হয়ে শর্ট নিতে আসেন বদলি প্লেয়ার সার্জিনহো। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানের নেওয়া শর্ট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় মিলান। অন্যদিকে, লিভারপুলের হয়ে ১ম শর্ট নেন ডিফেন্ডার হামান। তার শর্ট গোলকিপার দিদাকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে ১-০ গোলের লিড পায় অলরেডরা। ডেথবল স্পেশালিস্ট আন্দ্রে পিরলো মিলানের হয়ে ২য় শর্ট নেন। কিন্তু তার নেওয়া শর্টটিকে অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ডুডেক। অন্যদিকে, বদলি প্লেয়ার সিসির দেওয়া গোলে ২-০ গোলের লিড পেয়ে যায় রাফা বেনেতিজের দল। ৩য় শর্ট নিতে এসে বদলি প্লেয়ার থমাসন প্রথম গোলটি করেন মিলানের পক্ষে। অন্যদিকে, জন রাইসির নেওয়া শর্ট ফিরিয়ে দিয়ে মিলানকে ম্যাচে ফিরান গোলকিপার দিদা। আবারো জমে উঠলো খেলা। ৪র্থ শর্ট নেওয়া কাকা এবং স্মেচার দু'জনেই গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২ এ। ৫ম শর্ট নিতে আসেন আগের বছর ব্যালন ডি'অর জিতা এবং পুরো ম্যাচে অসাধারন খেলতে থাকা শেভচেঙ্কো। কিন্তু, হতাশায় পুড়ালেন তিনি। তার নেওয়া শর্টটা ফিরিয়ে দিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়েন গোলকিপার ডুডেক। হতাশায় লুটিয়ে পড়লো মালদিনি-কাফু-কাকা-পিরলো-শেভচেঙ্কোরা। আর জেরার্ড-গার্সিয়ারা আনন্দে হওয়ায় ভাসতে থাকলেন। ইস্তাম্বুলের গ্যালারীতে শুরু হয়ে গেলো লাল উৎসব। 

 #রেজাল্ট: লিভারপুল:৩(৩)- এসি মিলান:৩(২)

#ম্যান_অফ_দ্যা_ম্যাচ: স্টিফেন জেরার্ড (লিভারপুল)

#সার_সংক্ষেপ: আজ আবারো এই ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতার আরেকটা ফাইনালে লিভারপুলের প্রতিধন্ধি এই আসরের গত দুই বারের এবং সর্বোচ্চ ৪ টি শিরোপা জিতা স্প্যানিশ দল সেভিয়া। আশা করি, এই রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচ দুটি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অলরেডরা আজ ও আরেকটি অসাধারণ ফাইনাল ম্যাচ উপহার দিবে সারা বিশ্বের সকল ফুটবলপ্রেমীদের এবং দিনশেষে আবারো বাসেলে শিরোপা উচিঁয়ে ধরবে জেরার্ডের উত্তোরসূরিরা। ক্লপ এন্ড কোং এর জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।  

#YNWA

0 comments:

Post a Comment