Friday, October 13, 2017

”George is Best" By: Saimon Rasel

Maradona is good,
Pele is better,
but George is best"
এই কথাগুলো নরদার্ন আয়ারল্যান্ড এর সকলের মুখেই শুনা যেত তাদের দেশের পোস্টার বয়কে নিয়ে। আপনি ভাবতে পারেন কি এমন প্লেয়ার ছিলেন তিনি,যে পেলে ম্যারাদোনা থেকেও মানুষ সেরা বলতো?
হ্যা জর্জ এর স্টেট দেখলে তাকে আপনার এই যুগের এভারেজ কোন প্লেয়ার মনে হবে, সেইজন্যে আপনার চোখ দিতে হবে জর্জের মনোমুগ্ধকর ফুটবল শৈলীতে।জর্জ ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইতিহাসের সেরা তিন খেলোয়াড়দের একজন,৫৮ তে মিউনিখ ট্রাজিডির পর আস্তে আস্তে উন্নতি করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটি পূর্ণতা পায় বেস্টের খেলায়।
১৯৪৬ সালের ২২ মে, বেলফাস্টে জন্ম নেন এই ফুটবল কিংবদন্তি।রিচার্ড ও এন্নে বেস্টের পাচ সন্তানের মধ্যে জর্জ ছিল সবচেয়ে বড়। তার বাবা রিচার্রড ছিল খ্রিষ্টান সংঘ অরেঞ্জ অর্ডার এর সক্রিয় সদস্য। জর্জকে তাই এই সংগঠনের ব্যানার নিয়ে ঘুরতে হত তার অঞ্চলে। এইটা তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।প্রাইমারি স্কুল থেকে উত্তীর্ণ হয়ে হাই স্কুলে পা দিল জর্জ,তখনি পড়াশুনোককে ছুটি দিয়ে মন দিলেন রাগবীতে। কিন্তু তুলনামূলক কম শক্তিশালী ও বেটে হওয়ায় রাগবী ছাড়তে বাধ্যই হন, এইবার মন দিলেন ফুটবলে।খেলাটা যেন তার জন্যেই তৈরী হয়েছিল, মাত্র ১৫ বছর বয়সেই চোখে পড়ে যান এক ম্যানচেস্টার স্কাউটে।বব বিশপ নামের সেই স্কাউট মেনেজারকে টেলিগ্রাফ করেন" I found a genius for you at last"
এ থেকেই বুঝা যায় কতটা মুগ্ধ হয়েছিলেন সেই স্কাউট।
ম্যানচেস্টার এ যান জর্জ এবং ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হয়ে যান,শুরু হয় ম্যানচেস্টার জার্নি। কিন্তুই ব্যক্তিজীবনে সবসময়ই সমালোচিত জর্জ,মাত্র ২ দিন পড়েই ইউনাইটেড ছেড়ে চলে
যান নিজের বাড়িতে,ঘরকাতুড়ে ছিলেন বেশ।
তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক কারনে আইরিশরা ফুটবল খেলতে পারতো না, তাই জর্জ নিয়মিত ট্রেনিং করতে পারলো না । শিপইয়ার্ড এ বার্তাবাহক এর চাকুরী নেন এবং সপ্তাহে মাত্র ২ বার করতে পারতেন ট্রেনিং।১৯৬৩ সালে, ওয়েস্ট ব্রম এর বিপক্ষে ১৭ বছর বয়সে অভিষেক হয় জর্জের,অই ম্যাচের পর আবারো দলে অনিয়মিত হয়ে পরেন। দিতীয় বারের চান্সেই কোচকে খুশি করে ফেলেন,অই সিজনে ২৬ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে গোল করেন ৬ টি।
লীগে হন ২য়, এফএ কাপের সেমিফাইনলিস্ট ও হন।সিনিয়র টিমের হয়ে না পারলেও,
ইয়ুথ টিমের হয়ে এফ্এ কাপ জয় করেন বেস্ট। ৫৮ এর মিউনিখ ট্রাজিডির পর প্রথম ট্রফি জয়।
পরের সিজনেই মূল একাদশে জায়গা করেন নেন বেস্ট এবং জয় করেন লীগ শিরোপা, ও কমিউনিটি শিল্ড।উত্থান হয় রেড ডেভিলদের।ইউরোপে প্রথমবারের মতন সকলের নজরে আসেন ৬৬ তে, বেনফিকার বিপক্ষে ২ গোল করে, পুরো ইউরোপিয়ান মিডিয়া বুধ হয় তার খেলায়।তার স্কিল ও গোলে প্রত্যেক পত্রিকার কভার পেজে নাম আসে "দি বেলফেস্ট বয়" নামে।
কিন্তু অই সিজনে আর জিতা হয়নি কোন শিরোপা, ইঞ্জুরিতে বেস্ট ছিটকে গেলে সিজনের সপ্ন ও শেষ হতে থাকে রেড ডেভিলদের।পরের সিজনেই ব্যাক করে ইউনাইটেড, ব্যাক করে বেস্ট, লীগ ও চ্যারিটি শিল্ড জয় করেন। ৪৫ ম্যাচে করেন ১০ গোল।
পরের সিজনেই প্রথমবারের মতন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন বা চ্যাম্পিয়নস লীগ জয় করেন ম্যানচেস্টার।সিটির নিকট লীগ হারিয়ে কিছুটা হতাশ থাকলেই, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরাটা দেয় ইউনাইটেড।
সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বেস্টের ১ গোল ও এক এসিস্টে ৪-৩ এগ্রিগেটে জয় পায় ইউনাইটেড। চলে যায় প্রথম্বারের মতন ইউরোপিয়ান ফাইনালে,মুখোমুখি বেনফিকার।
ওয়েম্বলির ফাইনালে পৃথিবী দেখতে পায় বেস্ট ম্যাজিক, এক্সট্রা টাইমে খেলা গড়ালে বেস্টের এমাযিং রানে একাই লিড এনে দেন ইউনাইটেডকে।পরে ৪-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ম্যানচেস্টার, পুরষ্কার হিসেবে জয় করেন ব্যালন্ডি ওর।সবচেয়ে কম বয়সে বিজয়ো হন ফুটবলার ওফ দি ওয়াল্ড এর খেতাব।
পরের সিজনেই পাশা ঘুরে যায়, ম্যানচেস্টার খুজে ফিরে নিজের ফর্মকে কিন্তু জর্জ থাকেন অবিচল, ম্যানচেস্টার কে একাই টেনে নিয়ে যান, ৫৫ ম্যাচে করেন ২২ গোল।ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে হার,ইউরোপিয়ান কাপের সেমিতে হার,লীগে ১১ তম হয় সেই সিজনে বেস্ট বাহিনী।কোচ বাবসির অবসরে ছন্নছড়া ইউনাইটেড, বাধ্য হয়েই ২ সিজন পর বাবসি আবারো কাধে নেন দায়িত্ব, কিন্তু তাতে উন্নতি কিছুটা করলেও ট্রফি জেতা হয়নি ইউনাইটেডের।
বেস্ট ফুটবল মাঠে যতটা কার্রযকর ছিলেন,মাঠের বাইরে ততটাই অকার্যকর।তার ব্যবহার ও চালচলন ছিল খুবই খারাপ। মিসকন্ডাক্ট এর জন্যে এফএ বারবার তাকে জরিমানা করেছিল,তাছাড়া ট্রেনিং এও সে নিয়মিত ছিল না, সুন্দরীদের সাথেই সময় কাটাতো ট্রেনিং ফাকি দিয়ে। কোচ, ক্লাব তাকে বারবার শাস্তি দিত,কিন্তু সে এগুলো মাথায় নিত না, কারন সে জানতো মাঠে তার কাজটা কি, এবং সে তার কাজটা ১০০ভাগ সঠিকভাবেই করতে পারতো।
১৯৭১-৭২ সিজনে ৫৪ ম্যাচে ২৭ গোল করলেও, কোচের উপর রাগ করে রিটায়ার করেন বেস্ট।পরের সিজনে আবারো দিতীয়বারের মতন বেস্ট রিটায়ার করেন কোচের পরিবর্তন হওয়ায়।আবারো ফিরে আসেন রিটায়ারমেন্ট থেকে,আরো ভয়ংকর হয়ে।
কিন্তু কোচের সাথে দ্বন্দ্ব তাকে এগুতে দেয়নি ৭৪ সালের ১ জানুয়ারি নিজের শেষ মেনচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচ খেলেন বেস্ট।পরের তিনদিন আর ট্রেনিং এ পাওয়া যায়নি তাকে,কোচ তাকে টিম থেকে বসিয়ে দেন।এর কিছুদিন পর ব্রিটিশ সুন্দরি মারজুরি ওয়ালেস এর পাস্পোর্রট,টাকা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার জন বেস্ট, যদিও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় কিছুদিন পরই,এবং বেস্ট নির্দোষ প্রমাণিত হয়।পরের দশ বছর ডজনখানেক বি গ্রেড সি গ্রেড ক্লাবে খেলেন বেস্ট। নিজেকে হারিয়ে খুজেন,কিন্তু নিজের বদ অভ্যাসগুলো থেকেই যায় তার শরীরে।তাই স্থায়ী হননি কোথাও।
ম্যানচেস্টার এর হয়ে ৪৭৪ ম্যাচে ১৮১ গোল করেন বেস্ট তাছাড়া পুরো ক্যারিয়ারে ৭০৯ ম্যাচে গোল করেন ২৫৩ টি। উইংগার হয়ে এত গোল করাটা, এবড়োখেবড়ো সেই মাঠে মোটেও সহজ ছিল না।
সম্মাননা-
Manchester United
FA Youth Cup: 1964
Football League First Division (2): 1964–65, 1966–67
Charity Shield (2): 1965, 1967
European Cup: 1968
Individual Edit
Football League First Division Top Scorer: 1967–68[129]
FWA Footballer of the Year: 1967–68
Ballon d'Or: 1968; Third place 1971
PFA Team of the Year Second Division: 1977
Football League 100 Legends: 1983
Honorary doctorate from Queen's University Belfast: 2001[130]
Freeman of Castlereagh: 2002[131]
Inaugural inductee into the English Football Hall of Fame: 2002
BBC Sports Personality of the Year Lifetime Achievement Award: 2002
UEFA Jubilee Awards – Northern Ireland's Golden Player: 2003
UEFA Golden Jubilee Poll: #19th[132]
FIFA 100
Golden Foot: 2005, as football legend
PFA Merit Award: 2006
PFA England League Team of the Century (1907 to 2007):
Team of the Century 1907–1976[133]
Overall Team of the Century[134]
FWA Tribute Award: 2007
European Hall of Fame (Player): 2008
FIFA Player of the Century:
FIFA internet vote: #20
FIFA Magazine and Grand Jury vote: #5
World Soccer The Greatest Players of the 20th century:
২০০৫ এ ৫৯ বছর বয়সে মারা যান বেস্ট।


0 comments:

Post a Comment